কোন এক মধ্য
রাতে আমার স্বপ্নের আলোক ঝাপটায়
তোমাদের ঘুম
ভেঙে গিয়েছিলো আর তা দেখে আমি খুব বিব্রত হই
মুক্তর মতো সাদা
সাবু,গোলাপের মতো
লাল ডালিমের
দানা,ঘাসের মতো সবুজ জেলি
আর সূর্যের মতো
উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের স্বপ্নদের
তোমাদের ফিকে
ভাবনার মতো নুডুলসের সাথে মিলিয়ে আমি
রঙধনুর মতো
ফালুদা বানিয়ে খেয়েছিলাম।
তেমনি কোন এক
সকালে তোমাদের ব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনের কাছে
আমার কর্মহীন
শৈল্পিক জীবন
যখন বোঝায় পরিণত
হয়েছিলো ?
দুধ,চিনি, চাপাতার সাথে গাঢ় লিকার করতে
আমি আমার
শৈল্পিকতাকে খুব করে জাল দিয়েছি,
অন্যসব উপকরণের
সাথে আমার সৃষ্টিশীলতা যখন গাঢ়
রঙ ছাড়িয়েছিল ?
বারান্দায় বসে
আকাশ দেখতে দেখতে
সে সতেজক চা আমি
দেদারসে গিলে গেছি।
শান্ত কোন এক
দুপুরের কথা আমার ছোট খাট বায়না
আর শখের উৎপাতে তোমাদের
অতিষ্ঠ দেখে
আমি অপ্রস্তুত
হয়ে পড়ি; পিয়াজ, মরিচ
ও পাঁচফোড়নের
সাথে আমার বায়না আর শখ গুলোকে
ভেজে সব্জির
সাথে মিলিয়ে তৈরি করেছিলাম মধ্যাহ্ন ভোজন।
র্নিলজ্জের মতো
পেট পুড়ে সাবার করেছি তাও। কোন এক পড়ন্ত বিকেলবেলায়
আমার আমিত্ব
তোমাদের কণ্ঠকে রোধ করে ফেলেছিল প্রায়,
তা দেখে আমার
খুব কষ্ট হচ্ছিলো
আর তাই,আমি আমার আমিত্বকে তোমাদের প্রিয় ফল,
আইসক্রিম আর বরফ
কুচিতে মিলিয়ে ব্লেন্ডারে
খুব ব্লেন্ড করে
এক চমৎকার
ফ্রুটস্যেক তৈরি করেছিলাম।
তোমাদের সাথে
সেই ফ্রুটস্যেক দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে সেদিন আমিও পিছপা হইনি।
কোন এক পূর্ণমা
রাতের কথা
আমার আত্মসম্মান
বোধ তোমাদের গতানুগতিক জীবনযাত্রাকে
বাধাগ্রস্ত
করছিলো বলে আমি লজ্জিত হয়ে পড়ি,
নানান রকম শাহী
মশলা আর তেল ঝাল দিয়ে
আমি আমার
আত্মসম্মানবোধকে বসিয়েছিলাম
বাসমতী চাল ও
মাংসের সাথে মিশিয়ে দমে।
সেদিনের সেই
রাজকীয় খাবারের সুঘ্রাণে অন্যদের সাথে
ক্ষুধার উদ্রেক
হয়েছিলো আমারো।
আজকাল আমার জীবন
তোমাদের খুব অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে-
আর তা দেখে আমি
যার পর নেই অনুতপ্ত ;
নতুন কোন
খাবারের রেসিপি শিখে
খুব জলদি আমার
জীবনের সাথে মিলিয়ে হয়তো একদিন খেয়ে নেবো তাও।
বুভুক্ষু আমি আমার
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, স্বপ্ন, শখ,আত্মসম্মান বোধ
আর আমিত্ব সবটাই
আমি গিলে খেয়েছি।
কিন্তু অজস্র
জন্মের ক্ষুধায় আমি এখন ক্ষুধার্ত বুভুক্ষের মতোন
আমি আমার জীবনকে
দেখছি!
কোনো একবেলার
আহারে তোমাদের মতো আমাকেও হয়তো তৃপ্ত করবে সে।