চিঠি

১০ চৈত্র, ১৪২৩

শ্রীচরণেষু,
তারিখ লিখিতে যাইয়া বুঝিলাম ঈশ্বর আমার শরীরের আর মনের অনুভূতি এক করিয়া কোনো একটি দুরভিসন্ধিতে মগ্ন হইয়াছেন। চৈত্রের দাবদাহ কেবল প্রকৃতি নহে মনকেও পুড়াইয়া ছাই করিবার পথে। পরন্তু গুনি জনে কহিয়া গিয়াছেন..... বনের আগুন সকলেরি গোচর হয় কিন্তু মনের আগুন হয় না। চক্ষের জলও আজি কাল ধোঁকা দিয়া যায় ;নতুবা তাহাতে সে আগুন নিভাইবার ক্ষীণ প্রচেষ্টা করিয়া দেখিতাম। পর সমাচার এই যে,বাটির সামনের কানায় কানায় পূর্ণ পুষ্করিণী আজ জল শুন্য হইয়া, প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা সে ফ্যালফ্যাল করিয়া অবলোকন করিতেছে। কাঠঠোকরারা অহর্নিশি বৃক্ষে ঠোট ঘোষিয়া কি উদ্ধার করিবে ! তাহা আমার বোধ্যগাম্য নহে। তবে ইহাতে আমার মস্তিষকের যন্ত্রণা দিগুণ হারে বারিয়া যাইতে থাকে। 'পিউ কাহা পিউ কাহা' বলিয়া যে পক্ষী দিবানিশি ঘুরিয়া ফিরিতেছে ?আমার ইচ্ছা হয় তাহারে ডাকিয়া বলি... এই জনমের মতো তাহার আশা ছারিয়া দেও! আমার বাটির চারিপাশে আইসা তাহার জন্য অমন কলহো বাধাইবে না। ইহাতে আমার পীড়া বৃদ্ধি ছাড়া কম হয়না। দিন রাত্রি নানান ধরণের কর্ম করিয়াও বেলার শেষান্তে আসিয়া বুঝিতে পারিনা এতোটা নিষ্ক্রয় কেমন করিয়া হইয়া পরিলাম। আমি কি ধাঁধাঁয় পড়িলাম?  নাকি ধাঁধাঁই আমাকে ধীরেধীরে বাধিয়াছে !

পুনশ্চ : হয়তো জানিয়া থাকিবেন !  চোক্ষের কোটরে জল শুকাইয়া নুন হইলেও হইতে পারে, কিন্তু সর্বদা সেই নুন জীবনের স্বাদ বৃদ্ধি করে না।

ইতি
.......

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধূসর স্বপ্ন

শুষ্ক বাতাসে শুখনো পাতার মতো উড়ে যায় প্রাণহীন স্বপ্ন। জলজ মীন হয়ে উঠেছে তৃষিত মাছরাঙা , হাজার বছর ধরে জমে থাকা মেঘ থেকে ঝরেনি এক ...